আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ বৃহস্পতিবার মার্কিন গোয়েন্দা ড্রোন ইরানের ক্ষেপণাস্ত্রের মাধ্যমে ভূপাতিত হওয়ার ঘটনার পর হরমুজ প্রণালি ও ওমান উপসাগরীয় এলাকায় ইরান নিয়ন্ত্রিত আকাশসীমা দিয়ে মার্কিন বিমান উড্ডয়ন নিষিদ্ধ করেছে যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (এফএএ)। তবে কতদিন পর্যন্ত এ স্থগিতাদেশ থাকবে তা জানায়নি তারা।
বৃহস্পতিবার (২০ জুন) হরমোজগান প্রদেশে একটি মার্কিন ‘গোয়েন্দা’ ড্রোন ভূপাতিত করে ইরান। দেশটির সেনাবাহিনী ইসলামিক রেভ্যুলশনারি গার্ড (আইআরজিসি)-এর দাবি, ইরানের আকাশসীমায় ঢুকে পড়ায় ড্রোনটি ভূপাতিত করা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র ড্রোন ভূপাতিত হওয়ার কথা স্বীকার করলেও এটি তেহরানের আকাশসীমায় প্রবেশের দাবি নাকচ করে দিয়েছে তারা।
জানা যায়, ওইদিন হরমোজগান প্রদেশে মার্কিন ড্রোন ভূপাতিত করার পর ইরানের সেনাবাহিনী দাবি করে নিজেদের আকাশসীমায় ঢুকে পড়ার কারণে ড্রোনটি ভূপাতিত করা হয়েছে। তবে যুক্তরাষ্ট্র ড্রোন ভূপাতিত হওয়ার কথা স্বীকার করলেও এটি ইরানের আকাশসীমায় প্রবেশ করেনি বলে দাবি করেছে। এ ঘটনার পরই নিরাপত্তা পর্যালোচনার পর ইরানের আকাশসীমায় মার্কিন বিমান চলাচল নিষিদ্ধ করার ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ।
শুক্রবার নেদারল্যান্ডসের পতাকাবাহী কেএলএম এয়ারলাইন্সের এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, তাদের বিমান হরমুজ প্রণালির উপর দিয়ে আর চলাচল করছে না। মালয়েশিয়া এয়ারলাইন্স কর্তৃপক্ষও জানিয়েছে তারা ওই এলাকার আকাশসীমা এড়িয়ে যাচ্ছে। কুয়ালালামপুর, লন্ডন, জেদ্দা ও মদিনায় ফ্লাইট চলাচলের ক্ষেত্রে ওই আকাশসীমা ব্যবহার করা হতো। মালয়েশিয়ান এয়ারলাইন্সের বিবৃতিতে বলা হয়, ‘বিমান নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ নিবিড়ভাবে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে এবং নিরাপত্তা প্রতিবেদন ও সংশ্লিষ্টদের কাছে নোটিশ পাঠানোসহ বিভিন্ন মূল্যায়ন করা হচ্ছে।’
বৃহস্পতিবার (২০ জুন) আমেরিকান এয়ারলাইন্স ও ডেল্টা এয়ারলাইন্স- এই দুই মার্কিন এয়ারলাইন্স কর্তৃপক্ষও ঘোষণা দিয়েছে তারা ইরানের আকাশসীমা দিয়ে ফ্লাইট পরিচালনা করবে না। জাপান এয়ারলাইন্স ও এএনএ হোল্ডিংসও একইরকমের ঘোষণা দিয়েছে।