নিম্নচাপের প্রভাবে টানা তিন দিনের বৃষ্টিতে ভোগান্তি চরমে উঠেছে রাজধানীবাসীর। পানি আর যানজটে নাকাল ঢাকা শহরের জনজীবন। টানা বৃষ্টিতে পুরান ঢাকা থেকে শুরু করে পল্টন, মালিবাগ-মৌচাক ও রাজারবাগ এলাকা, মিরপুরের বিভিন্ন অংশ, বাড্ডা ও রামপুরা ও ধানমন্ডিসহ রাজধানীর বেশিরভাগ এলাকায় জলাবদ্ধতা তৈরী হয়েছে। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) এলাকার পুরান ঢাকার সিদ্দিকবাজার, কাজী আলাউদ্দিন রোড, নাজিমউদ্দিন রোড, মতিঝিল, বঙ্গভবনের দক্ষিণ ও পশ্চিমপাশের সড়ক, ধানমন্ডি ২৭ নম্বরসহ প্রায় সব এলাকায় সড়কে পানি জমেছে।
একটি প্রতিষ্ঠানের কর্মচারী হেমায়েত উল্লাহ বলেন, রামপুরা থেকে হেঁটে এসেছি। রিকশার ভাড়া অনেক বেশি। রামপুরা থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকে যেতে রিকশাওয়ালারা ১০০ টাকার নিচে যেতে চান না। তাই হাঁটা ছাড়া উপায় নেই। রামপুরা থেকে মালিবাগ চৌধুরী পাড়ার ভেতরের বেশ কয়েকটি রাস্তা পানিতে ডুবে গেছে। মৌচাক পর্যন্ত ফুটপাতে নিয়মিত হকাররা বসলেও আজ ফুটপাত একেবারই ফাঁকা। পল্টন এলাকার চা বিক্রেতা সেলিম রেজা বললেন, গতকালও বিক্রি হয় নাই। আজও হবে বলে মনে হচ্ছেনা। অবিরাম বৃষ্টির কারণে রাজধানীর সব এলাকাতেই দোকান-পাটও খুলছেনা। মিরপুর ৬০ ফিট এলাকার এক বাসিন্দা বলেন, ৬০ ফিট রাস্তা উঁচু হলেও সেখানেও পানি জমে গেছে। চার দিকের প্রায় সব রাস্তাতেই পানি জমে রয়েছে। মধ্য বাড্ডা, রামপুরা থেকে মাদারটেক, ত্রিমোহনী বা ডেমরাগামী রাস্তার যাত্রীরাও দুর্ভোগে পড়েন রাস্তায় পানি জমে থাকায়। বিমানবন্দর সড়কের বিভিন্নস্থানের দুই পাশেই পানি জমে রয়েছে। অন্যদিনের তুলনায় আজ সড়কে যানবাহন কম থাকলেও পানির কারণে রাস্তায় যানজট দেখা যায়।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা শফিকুল আলম গণমাধ্যমকে জানান, সড়কের ম্যানহোল এবং নিষ্কাশন নালার পিটগুলো খুলে দেওয়ার কাজ করছে সিটি করপোরেশন। ময়লা জমে ড্রেনের অনেক জায়গায় ব্লক হয়েছে। সেগুলো আমরা ক্লিয়ার করে দিচ্ছি। ডিএসসিসির ‘ইমার্জেন্সি রেসপন্স টিম’ মাঠে রয়েছে। চারদিকে তারা কাজ করছে। রাতেও তারা কাজ করেছে। দ্রুতই পানি নেমে যাবে।
টানা বৃষ্টিতে ভোগান্তিতে রাজধানীবাসী
