নিউজ ডেস্ক : বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে হত্যা নয়, অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যুর ঘটনা ঘটছে বলে বিএসএফের মহাপরিচালক , তাঁর সমালোচনা করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, সীমান্তে হত্যা বন্ধ করতে হবে।
রোববার বিকেলে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রুহিয়া থানা বিএনপি আয়োজিত এক কর্মিসভায় এসব কথা বলেন মির্জা ফখরুল।
বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘আমরা বন্দুক-পিস্তল নিয়ে দাঁড়াই না। আমরা জনগণকে সঙ্গে নিয়ে দাঁড়াই। এই জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। জনগণের শক্তির কাছে কোনো শক্তি টিকতে পারবে না। সেই শক্তি সঞ্চয় করতে হবে আমাদের। আমরা সঠিক পথে আছি। আমরা গণতন্ত্র চাই। জনগণের অধিকারকে প্রতিষ্ঠিত করতে চাই। একটা স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ তৈরি করতে চাই আমরা। আমরা নতজানু হয়ে থাকতে চাই না।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কমান্ডার বলেছেন যে এই বছরে অর্থাৎ গত বছরে সীমান্তে দুঃখজনকভাবে হত্যার সংখ্যা বেড়েছে। তিনি হত্যা বলতে চাননি। উনি বলেছেন, দুর্ঘটনায় নিহত। দুর্ঘটনায় নিহত নয়, সীমান্তে আমাদের বাংলাদেশিদের গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। আইন আছে। সেই আইনের মধ্যে একজন মানুষের বেঁচে থাকার অধিকার রয়েছে। আদালতে তার বিচার হবে, তারপর তার ব্যবস্থা হবে। সুতরাং ওই সীমান্তে যে হত্যা হচ্ছে সেই হত্যা বন্ধ করতে হবে।’
বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘আজকে আমরা তিস্তা নদীর পানির ন্যায্য হিস্যা পাই না। সেই ব্যাপারে ১০ বছরেও কোনো সমাধান হয়নি। আমাদের প্রধানমন্ত্রী বলছেন, ভারতের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক নাকি এখন সবচেয়ে ভালো, স্মরণকালের সর্বশ্রেষ্ঠ সম্পর্ক। তাহলে আমাদের যে সমস্যা আছে সেগুলো সমাধান হচ্ছে না কেন? ভারতের সমস্যার সমাধান তো হয়ে গেছে। তারা ট্রানজিট পেয়েছে। অন্যান্য ব্যবসার সুবিধা পেয়েছে। এখান থেকে যা সমস্যা ছিল সব সমস্যা দূর হয়ে গেছে। আমার বাঁচা-মরার যে সমস্যা সেই তিস্তা নদীর পানির হিস্যা বা অন্য অভিন্ন নদীগুলো যে রয়েছে সেই নদীগুলোর পানি বণ্টনের সমস্যার তো সমাধান হচ্ছে না। আমার বাণিজ্যের সমস্যার সমাধান তো হচ্ছে না যে ভারসাম্যহীনতা চলছে।’
‘আমার দেশের মানুষ আজকে কাজ পায় না। শিক্ষিত যুবকরা কাজ পায় না। অথচ ভারত আমাদের দেশ থেকে প্রায় ১০ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স নিয়ে যায়, তাদের লোকেরা এখানে কাজ করে।’ যোগ করেন মির্জা ফখরুল।